শিক্ষা ও গবেষণা

শিক্ষা সুযোগের প্রসার

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

volunteer

শিক্ষাখাতে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নানাবিধ জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে। সত্যি বলতে কি শুরু করতে হবে একদম গোড়া থেকেই, ঢেলে সাজানো জরুরি পুরো শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য সবকিছুই। আমাদের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটাই এমনভাবে লেজেগোবরে অবস্থায় চলে গেছে একের পর এক অপরিকল্পিত ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের ফলে, যা আমাদের শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের শিক্ষা তো দিতে পারছেই না, বরং তাদের পরিণত করছে সার্টিফিকেটসর্বস্ব কেরানি কিংবা অনুৎপাদনশীল ভোঁতা কর্মশক্তিতে। এর অন্যতম মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর মেরিট অনুযায়ী, তার আগ্রহ বা সৃজনশীলতার জায়গাটা অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক স্পেশালাইজড শিক্ষা না পাওয়া এবং অর্জিত জ্ঞানে সৃজনীক্ষমতার কাজে লাগাতে না পারা। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী একজন শিক্ষার্থীকে যদি প্রথম সায়েন্স নিয়ে পড়তে বাধ্য করা হয় এবং পরবর্তীতে পরিবারের ইচ্ছের চাপে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়, তবে তার মেধার বিকাশ তো হলই না, বরং সারাজীবন তাকে এভারেজ লেভেলের ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই অতৃপ্ত এক আক্ষেপে পার করে দিতে হবে। অথচ বেসিক শিক্ষাটা পাবার পর যদি তাকে সঙ্গীতের উপর স্পেশালাইজড স্টাডির সুযোগ দেওয়া হত, তবে সে তার সৃজনীক্ষমতা, আগ্রহ আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠতে পারব এক অসাধারণ শিল্পী। আবার যার বই পড়া বা লেখালেখিতে আগ্রহ, সুযোগ পেলে এবং সাহিত্য নিয়ে বিশেষায়িত শিক্ষা পেলে ভালো একজন সাহিত্যিক হবার কথা, তাকে যদি পরিবারের ইচ্ছের যাঁতাকলে পড়ে বিজনেস স্টাডিজ নিয়ে পড়তে হয় এবং একজন ব্যাংকার হয়ে বাকি জীবন পার করে দিতে হয়, তবে এতে রিসোর্স হিসেবে তার সাহিত্যিক সত্ত্বাটা তো অপচয় হলই, একইসাথে তার কর্মস্থল এবং পেশাগত স্টেকহোল্ডাররা তার জায়গায় একজন ডেডিকেটেড ব্যাংকারের আরো উন্নতমানের সেবা থেকে বঞ্চিত হলো। এধরনের জরুরি বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করবো আমরা। ফার্স্ট পিপল ফাউন্ডেশন সারাদেশে প্রতি জেলায় জেলায় থানায় থানায়, অঞ্চলভিত্তিক নানা স্থানে তৈরি করবে আধুনিক পাঠাগার, বাস্তবায়ন করবে শিক্ষা সহায়ক নানা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার। স্থানীয় প্রশাসনকে বোঝাবে পাঠাগার তৈরির গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা যেন সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন উদ্যোগ এগিয়ে আসে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে ছাড়া বা প্রথাগত পাঠাগারের বাইরে যে কোন স্থাপনার সাথেই পাঠাগার হতে পারে। মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়, রেস্টুরেন্ট বা যে কোন স্থাপনার সাথে ছোট্ট করে একটা পাঠাগার থাকতে পারে। আর আনুষ্ঠানিক পাঠাগারগুলোতে কাগজের বই বা ডকুমেন্টসের পাশাপাশি ডিজিটালি নানাবিধ কন্টেন্ট থাকতে পারে যা বই পড়তে বা শিক্ষা ও গবেষণার কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। 

ফার্স্ট পিপল মূলত তিনটি মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে। সেগুলো হচ্ছেঃ       

folk instrument

ক। অঞ্চলভিত্তিক আধুনিক পাঠাগার

খ। OCR

গ। বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা